প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মর্যাদা রক্ষা করা হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকরি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ে তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি সব কিছু উৎসর্গ করে এদেশের জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আজ দেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সেটা অব্যাহত থাক। মানুষ উন্নত, সুন্দর জীবন পাক, কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, এদেশের মানুষ সর্বত্র মর্যাদা পায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
‘দেশে মানুষ যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, সেই আস্থার মর্যাদা আমি রাখবো। যে দায়িত্ব দেশের মানুষ তুলে দিয়েছে; সেই দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি সেই দোয়া চাই,’ বললেন শেখ হাসিনা।
নিজের চোখের অপারেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বয়স হয়েছে, বুড়ো হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে আমার চোখের সানি অপারেশন করাতে হয়েছে। এখনও পাঁচবার করে চোখে ওষুধ নিতে হচ্ছে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালি যারা আছেন- সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে তিনি মুসলিম উম্মাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
‘মহান আত্মত্যাগের মহিমা নিয়েই ঈদ এসেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সেই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
তিনি বলেন, এখন আগস্ট মাস চলছে, ১২ তারিখ। এই দিনও তিনি বেঁচে ছিলেন। আমরা বিদেশে ছিলাম। ১৩ আগস্ট সবশেষ আমাদের সঙ্গে কথা হয়। ১৫ আগস্ট আমার বাবা, মা, ভাইসহ সবাইকে হত্যা করা হয়। আগস্ট মাস আমাদের জন্য কষ্ট, বেদনা নিয়ে আসে।
সবার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে প্রত্যেকেই যাতে দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সেই কামনা করছি।